পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে একটি দলনিরপেক্ষ সংস্থায় উন্নীত করতে কাজ করছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। সরকারের এই মহত উদ্যোগের সঙ্গে পুলিশের সবাই একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
বুধবার রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে আইজিপি এ কথা বলেন। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন, অভিভাবদন গ্রহণ এবং বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের হাতে পদক প্রদান করেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে আইজিপি বলেন, “পুলিশ মনোবল পুনরুদ্ধার করে অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ভেঙে পড়া রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্নির্মাণ করে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা জাতির।” তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমন, সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাই পুলিশের প্রধান দায়িত্ব। নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের আধুনিকায়ন অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
নবীন এসআইদের বার্তা
নবীন এসআই ক্যাডেটদের উদ্দেশে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “পরিবর্তিত সমাজের সারথী হিসেবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নয়নে আপনাদের জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। পুলিশের উপপরিদর্শক পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ৯০% ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত আপনারা পরিচালনা করেন। ন্যায়বিচার পাওয়া নির্ভর করে সঠিক তদন্তের ওপর। আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।”
কুচকাওয়াজে ৪৮০ জন ক্যাডেট এসআই অংশ নেন। শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পদক পেয়েছেন—
- বেস্ট একাডেমিক: এসআই বদিউজ্জামান
- বেস্ট ইন ফিল্ড এক্টিভিস্ট: এসআই নজরুল ইসলাম
- বেস্ট শ্যুটার ও সুইমার: নয়ন কুমার ঢালি
- বেস্ট ক্যাডেট: আরিফুল ইসলাম
কুচকাওয়াজে ২২ জন নারীসহ ৪৮০ জন অংশ নেন। অনুষ্ঠানে পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভূঁঞা, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান, এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত তথ্য
২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৮২৩ জন ক্যাডেট এসআইয়ের এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। অভিযোগের কারণে ২২ জন প্রশিক্ষণ থেকে ডিসচার্জ হন। চার দফায় ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
