শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের চৌকিদার কান্দি গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ বাবুল মোল্লা (৫০) এর গোয়াল ঘরে আগুন লেগে ৩টি গরু ও ৫টি ছাগল মারা গেছে। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন বাড়ির মালিক আবুল মোল্লা। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মশার কয়েল থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন পরিবারের সদস্যরা।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার (৫ আগস্ট) প্রতিদিনের ন্যায় গোয়াল ঘরে মশার কয়েল জ্বালানো হয়েছিলো। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় আগুন লাগে। রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলো। পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আগুন দেখতে পান আবুল মোল্লার মেয়ে নেহা (১৬) এসময় আগুন আগুন বলে চিৎকার দেন নেহা।
নেহার চিৎকার শুনে, আশপাশের লোকও আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। আগুন নেভাতে পারলেও বাঁচানো যায়নি ভ্যান চালক আবুল মোল্লার শেষ সম্বল গরু ছাগল। নিজের শেষ সম্বল গরু-ছাগল হারিয়ে দিশেহারা আবুলের পরিবার।
আবুল মোল্লা’র প্রতিবেশী দুলাল চৌকিদার বলেন, আবুল মোল্লা খুবই গরীব মানুষ। তার ৩ মেয়ে ও ১ছেলে রয়েছে। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান আবুল মোল্লা। জায়গাজমি কিছুই নেই তার। সম্পদ বলতে ছিলো এই গরু ছাগল।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, আবুল মোল্লার নিজের কোনো বাড়ি নেই। সরকারের দেওয়া ঘরেই বসবাস করেন আবুল মোল্লা। এমতাবস্থায় নিজের শেষ সম্বল গরু ছাগল হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পরেছেন।