সিলেটে বিদ্যুৎ থাকবে না ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত!

0

সিলেটের লোডশেডিং চরমে। নিয়মিতই ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। নতুন সূচি বলছে, কিছু এলাকা দৈনিক ১৩ ঘণ্টা থাকতে পারে অন্ধকারে।

রোববার (২৪ জুলাই) লোডশেডিংয়ের নতুন শিডিউল প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, সিলেট-২। নতুন সূচিতে দিনে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং রাখা হয়েছে।

নতুন শিডিউল অনুযায়ী মহানগরীর বালুচর, আরামবাগ, আল-ইসলাহ, নতুন বাজার, গোপালটিলা, আলুরতল, টিবি গেট, সোনারপাড়া, মজুমদারপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার, দর্জিপাড়া, খারপাড়া, কুমারপাড়া, নাইওরপুল, ধোপাদিধীরপাড়, ঝরনারপাড়, কুশিঘাট, নয়াবস্তি, টুলটিকর, মিরাপাড়া, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর, নোওয়াগাঁও, শাপলাবাগ, মেন্দিবাগ, হকার্স মাকেট, কালীঘাট, আমজাদ আলী রোড, মহাজপট্রি, মাছিমপুর, ছড়ারপার, উপশহর ব্লক-এইচ, আই, জে, ই, এফ, জি, সাদাটিকর, রায়নগর, ঝর্নারপাড়, দর্জিবন্দ, বসুন্ধরা, খরাদিপাড়া, দপ্তরীপাড়া, আগপাড়া, কাজীটুলা, মানিকপীর মাজার, নয়াসড়ক, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, চারাদিঘীরপাড়, চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, জেলখানা, বঙ্গবীর,  পৌরমার্কেট, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, সেনপাড়া, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া উপশহর ব্লক-এ, বি, সি, ডি, তেররতন, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবড়ীহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট, বঙ্গবীর যতরপুর, মিরাবাজার, আগপাড়া, ঝেরঝেরিপাড়া, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর ও পীরেরচক এলাকাগুলো ২৪ ঘণ্টায় ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যে পড়বে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গেল ১৯ জুলাই থেকে সিলেটসহ সারাদেশে এলাকাভিত্তিক ২৪ ঘণ্টায় ১-২ ঘণ্টা করে রুটিন লোডশেডিং করার নির্দেশ দেয় সরকার। এ লক্ষ্যে দিনে ও রাতে ২ ঘণ্টা করে ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করেছিলো বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, সিলেট। কিন্তু তাদের প্রকাশিত শিডিউলে শুরু থেকে বিপর্যয় দেখা দেয়। প্রথম দিন থেকেই সিলেট মহানগরীর সব এলাকায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকছে বলে জানা যায়।

এর কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অর্ধেকের চাইতেও কম হওয়ায় লোডশেডিংয়ের শিডিউলে এমন বিপর্যয়।

এদিকে, মহানগরীতে বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি থাকলেও গ্রামাঞ্চলে অবস্থা আরও ভয়াবহ। জেলার অনেক জায়গায় দিনে ও রাতের ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে মোট ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে। ফলে অসহনীয় ভোগান্তিতে রয়েছেন লোকজন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, সিলেট মহানগরীকে ভাগ করা ৫টি ডিভিশনে রোববার বিকেল ৪টার দিকে চাহিদা ছিল ২০০ মেগাওয়াট। কিন্তু ওই সময় আমরা সরবরাহ পেয়েছি অর্ধেকের চেয়েও কম। বর্তমানে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে গ্রাহক সেবা দিতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে।

তবে আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে এ অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন।

প্রকৌশলী ফজলুল করিম বলেন, পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে না কোথাও। হয়ত নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

একটি উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে