গোলাম সরোয়ার প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আহত কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জুলাই রোববার সকালে নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ নতুন পাড়া রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় পরে থাকা ছাত্রকে উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেবার পথে তার মৃত্যু হয়। শনিবার রাত থেকে সে নিখোঁজ ছিলো।
নিহত কলেজ ছাত্র নন্দলালপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের দিনমজুর যগেষ কুমার সরকারের ছেলে নয়ন কুমার সরকার (১৯)। সে আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলো।
এলাকাবাসী জানান, শনিবার রাত থেকে নয়ন নিঁখোজ ছিল। পরিবারের সদস্যরা সারারাত খুঁজে তার সন্ধান পাননি এবং নয়নের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ ছিলো। এরপর ভোররাতে খবর পেয়ে নন্দনালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ নতুনপাড়া মাঠের মধ্যে সড়কের পাশে নয়নকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেবার পরামর্শ দেন । এবং ঢাকা নেবার পথে তার মৃত্য হয়।
নিহতের বাবা যগেশ কুমার সরকার বলেন, গতকাল মধ্যরাত থেকে নয়ন নিখোঁজ ছিল। মুঠোফোনটিও বন্ধ ছিল। অনেক খোঁজাখুজি করেও কোথাও সন্ধান পাননি। পরে রোববার ভোররাতে মাঠের মধ্যে সড়কের পাশে পড়ে থাকার খবর পেয়ে ছুটে যান। গিয়ে নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে বলে। পরে ঢাকা যাওয়ার পথে মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, ‘ ঐ এলাকার সাবেক মেম্বর আঃ রাজ্জাকের ভাতিজির সাথে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে পারিবারিকভাবে নয়নকে শাষণ করেছিলেন। হয়তো ওই মেয়ের পরিবারের সদস্যরাই তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি তার ছেলের হত্যাকারীদের
উপযুক্ত বিচার দাবী করেন।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে নয়নকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীকে চিহ্নিত করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।