লেবার পার্টির এমপি ব্রিগেট ফিলিপসন বলেছেন, জনসন ব্রিটেনকে আন্তর্জাতিক হাসির বস্তু বানাচ্ছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ কথা বলেন তিনি।
ব্রিটেনের মন্ত্রিসভা থেকে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়াও অনেকেই জনসনকে পরামর্শ দিচ্ছেন পদত্যাগ করার জন্য। কিন্তু তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চাইছেন।
ছায়া শিক্ষামন্ত্রী এবং লেবার পার্টির এমপি ফিলিপসন বলেন, এ সংকট সমাধানে কনজারভেটিভ দলের জন্য দ্রুত ও সহজ পথ হলো ‘বরিস জনসনকে সরিয়ে দেওয়া’।
তিনি বলেন, তারা কয়েক মাস ধরে জানে যে তিনি কে এবং কী করতে সক্ষম।
‘এটি আমাদের গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানের মারত্মক ক্ষতি করছে এবং ব্রিটেনকে আন্তর্জাতিক হাসির বস্তু বানাচ্ছেন’, যোগ করেন ফিলিপসন।
লেবার পার্টি হাউস অব কমন্সে আস্থা ভোট আনবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কনজারভেটিভ পার্টি যে সমস্যার সৃষ্টি করেছে তার সমাধানের দায়িত্ব লেবার পার্টির নয়।
বরিস জনসন ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন। কিন্তু গত দুবছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেংকারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন।
মূলত একজন এমপির বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগকে ঘিরে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্ব এই সর্বশেষ সংকটে পড়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একজনের ওপর যৌন হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও কেন প্রধানমন্ত্রী জনসন পিঞ্চারকে ডেপুটি চিফ হুইপ নিয়োগ করেন— এটি নিয়েই মূলত তোপের মুখে পড়েন তিনি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই মন্ত্রীর নাটকীয় পদত্যাগ ব্রিটিশ রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এরপরই একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে থাকেন বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে।