বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন কমিয়ে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যা চলতি মুদ্রানীতিতে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আগের মুদ্রানীতির চেয়ে দশমিক ৭০ শতাংশ কমিয়ে সংকোচনমুখী মুদ্রা নীতি ঘোষণা দেন গভর্নর ফজলে কবির।
জাতীয় বাজেট অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ধরে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মূল্যস্ফীতি ও টাকার বিনিময় হারের ঊর্ধ্বমুখী চাপকে নিয়ন্ত্রণে রেখে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তার লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছেরর জন্য সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ভঙ্গি অনুসরণ করা হয়েছে, যা কিছুটা সংকোচনমুখী। সে ধারায় আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বক্তৃতার তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সরকারের কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির সবশেষ পরিস্থিতি এবং দেশের বন্যার অর্থনৈতিক প্রভাব পর্যালোচনা অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা।
২০২২ সালের মে মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ উল্লেখ করে বক্তব্যে বলা হয়, এটি জুন ২০২২ এর সিলিং ৫ দশমিক ৩০ এর বেশি। মূলত বিশ্ব বাজারে পণ্য মূল্য বৃদ্ধির সূত্রে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিদেশি ঋণ ভালো পাওয়ায় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ঋণ নেয়া হয়েছে মন্তব্য করে ফজলে কবির বলেন, ২০২২ সালের জুন শেষে ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ২৭ দশমিক ৯ ও ১৩ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৪ ও ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
যদিও ২০২১-২২ অর্থবছরের মতো আসন্ন অর্থবছরেও ব্যাংকিং খাতের নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বেসরকারিকরণ খাতে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ ঋণ বৃদ্ধি করাসহ মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ ১৮ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় তহবিলের আকার ১৫৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ১ হাজার ৯ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।