মিষ্টি খাবারের একটি চেনা উপাদান কিসমিস। পায়েস, হালুয়া থেকে শুরু করে পোলাওতেও এটি ব্যবহার করা হয়। কিসমিসের স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। যাদের শক্তি কম তাদের জন্য শক্তি বাড়ায় এটি। হাড়কে করে মজবুত।
কিসমিসে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, পটাসিয়াম, কপার এবং ভিটামিন বি৬ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে এটি খেলে অনেক উপকার মেলে। তবে তা খেতে হবে পরিমিত। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যায়। তাহলে এটি শরীরের জন্য উপকারি ভূমিকা রাখে। এর বেশি পরিমাণ হলে তা ক্ষতির কারণ হয়।
বেশি কিসমিস খেলে কী হয় জানুন।
পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা
কিসমিসে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে। পরিপাকতন্ত্রের জন্য এটি খুবই উপকারি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এটি অন্যান্য পুষ্টির শোষণ কমাতে পারে। ডায়েটারি ফাইবার আমাদের শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত তরল শুষে নিতে পারে। এটি ডায়রিয়ার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময় করে। কিন্তু অতিরিক্ত কিসমিস খেলে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এছাড়া বদহজম বা পেট ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ত্বকের অ্যালার্জি
একেক মানুষের একেক খাবারে অ্যালার্জি থাকতে পারে। অনেকেই কিসমিসে অ্যালার্জি রয়েছে। প্রথমবার কিসমিস খাওয়ার সময় তাই লক্ষ্য রাখুন ত্বকে ফুসকুড়ি বা চুলকানি হয় কিনা। হলে এড়িয়ে চলুন।
ওজন বৃদ্ধি
কিসমিসে উচ্চ মাত্রায় ক্যালোরি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ওজন কমাতে চাইলে এই খাবারটি সীমিত পরিমাণ খাওয়াই ভালো। হয়তো ওজন কমার বদলে বাড়বে।
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি
কিসমিসে চিনি ও ক্যালোরির পরিমাণ অনেক। এটি অল্প খেলে উপকার মিললেও, বেশি খেলে ক্ষতি হয়। মাত্রাতিরিক্ত কিসমিস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কিসমিস উপকারি খাবার। তবে তা খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।