গোলাম সরোয়ার প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এসবিএসএল নামের মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণার মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার সাজ্জাদ হোসেন ও একই জেলার মহেশপুর থানার মহসিন আলী এবং কুমারখালীর গোবরা গ্রামের আল- ইমরানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রায় তিনশত পরিবার।

রোববার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসবিএসএল কোম্পানির প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্বান্ত পৌরসভার তেবাড়িয়া গ্রামের হুমাইয়া, আলাউদ্দিন নগরের নাহিদ হাসান, শরিফ, টুটুল, বানিয়াকান্দির ইমন, যদুবয়রার সোবাহান ও ইমরানসহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসবিএসএল কোম্পানির তিন প্রতারক জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হান্নানের মাধ্যমে কুমারখালীতে কার্যক্রম শুরু করে। হান্নান স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়ী হবার সুবাদে বিভিন্ন জনকে ফুসলিয়ে বারো শত টাকা দিয়ে এসবিএসএল কোম্পানির আইডি খুলতে বলে। এবং প্রতি আইডি থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা ও আইডির বারো শত টাকার বিনিময়ে সমমুল্যর প্রোডাক্ট দেবার আশ্বাস দেয়।

প্রথম পর্যায়ে কিছু ব্যক্তি টাকা ও প্রোডাক্ট পাবার কারণে তাদের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি উৎসাহিত হয়। তারা আরো জানান হান্নানের সাথে পরবর্তীতে তারাপুরের হাসান সহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এসবিএসএল কোম্পানিতে যোগ দেয় এবং তাদের কোম্পানির ফাউন্ডার ঘোষণা দিয়ে তাদের মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষাধিক আইডি খোলা হয়। তারা জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে এসবিএসএল কোম্পানি প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকার অধিক হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে হুমাইয়া জানান হান্নানের মাধ্যমে তিনি কোম্পানিতে যোগদান করেন। তিনি আত্মীয় ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ তুলে ২২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।বর্তমানে ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি হান্নানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।

বানিয়াকান্দি গ্রামের কলেজ ছাত্র ইমন জানান তার বাবা একজন ভ্যান চালক। তারাপুরের হাসান তাকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে এসবিএসএল কোম্পানিতে ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করায়। বর্তমানে হাসানকে টাকার কথা বলতে গেলে সে কোন পাত্তা দিচ্ছেনা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে জানান । হাসান এভাবে আরো দুইশত আইডি বিভিন্ন জনকে দিয়ে খুলিয়েছে বলে