জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের নগর-বোয়ালিয়া (৭নং ওয়ার্ড) গ্রামের কৃষক খালেদ সরদারের ২টি পাটক্ষেতের ৪বিঘা জমিতে এই বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে তার ক্ষেতে থাকা প্রায় সকল পাট নষ্ট হয়ে গেছে।
সরজমিন গেলে দেখা যায়, কৃষক খালেদ সরদারের জমি ছাড়া বাকি সকল জমিতেই পাট স্বাভাবিক আছে। কেবল তার জমির চতুর্দিকে দুই-তিন ফিট করে জায়গা ছাড়া বাকি সকল পাট নষ্ট হয়ে মরে গেছে। এলাকাবাসীর ধারণা দুর্বৃত্তরা শুধু কৃষক খালেদ সরদারের জমির ফসল নষ্ট করতে চেয়েছিলো। যাতে অন্য কারো ক্ষেতের ফসল নষ্ট না হয় সেজন্য চতুর্দিক অতটুক জায়গায় বিষ প্রয়োগ করেনি।
কৃষক খালেদ সরদারের স্ত্রী জানান, তার ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে। তারা এই কৃষি কাজ করেই সংসার চালান। এই পাট ছিলো তাদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন। তার সেই স্বপ্ন এক রাতেই শেষ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তার ছেলে সুমন মিয়া(৩২) বলেন, তিনি এবং তার বাবা ২২মে (রোববার) সকালে ক্ষেতে এসে দেখেন পাটের অবস্থা ভালো না। সব পাট মরে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন তার এই ৪ বিঘা জমিতে এই পর্যন্ত প্রায় ৬০,০০০ (ষাট হাজার) টাকার মতো খরচ হয়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা খালেদ সরদারের পারিবারিক কোনো শত্রু রাতের আধারে আগাছানাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিয়েছে। যার ফলে ক্ষেতের সব পাট মরে গেছে। এধরণের ঘৃণ্য কাজের কঠোর শাস্তি চান তারা। তবে কে বা কারা এমন ঘৃণ্য কাজের সাথে জড়িত সে সম্পর্কে কিছুই জানেনা এলাকাবাসী।
জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে মাঠপর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করেছি। আমরা নিশ্চিত হয়েছি এগুলো আগাছা নাশক কোনো ঔষধ দেয়ার জন্য হয়েছে, যেগুলো পাটের সাথে যায়না।
এই ঘটনায় জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান সোহেল জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি কৃষি অফিসারের মাধ্যমে খবর নিয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন।
এই বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিন্টু মন্ডল বলেন, আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ এখনো আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
নবাবগঞ্জ নিউজ/নুর আলম