ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে রাশিয়ার হুমকির জেরে বিকল্প জ্বালানি খুঁজছে জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ বেঞ্জ। রাশিয়ার ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে আরও স্বাবলম্বী করার চেষ্টাও চলছে বলে জানিয়েছেন মার্সিডিজ বেঞ্জের প্রধান নির্বাহী ওলা কালেনিয়াস।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। এ অবস্থায় রুশ জ্বালানির বিকল্প খুঁজছে পশ্চিমারা। খবর গার্ডিয়ানের।
জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ বেঞ্জও রুশ জ্বালানির নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। প্রিমিয়াম গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জানান, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিলে কি হতে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই বিকল্পের দিকে নজর দিচ্ছে মার্সিডিজ বেঞ্জ। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতে জার্মান সরকারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
মার্সিডিজের প্রধান নির্বাহী ওলা কালেনিয়াস বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জ্বালানির উৎসের বিকল্পের দিকে নজর দিচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা সাবধান আছি।
এরইমধ্যে পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়ার গ্যাজপ্রম। পশ্চিমা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নিতে অন্য দেশগুলোরও একই পরিস্থিতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে মস্কো।
রাশিয়ার পদক্ষেপে জার্মানি এখনো ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও মার্সিডিজের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা হ্যারাল্ড উইলহেম জানিয়েছেন, গাড়ির রং করার জন্য যেসব দোকান ব্যবহার করা হয় তা গ্যাস প্ল্যান্টের ওপর নির্ভরশীল। তাই আগে থেকেই রাশিয়ার পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জার্মানির গাড়ি নির্মাতারা যে শক্তি ব্যবহার করেন তার অর্ধেকেরও বেশি আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশই ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে।