ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আবার ফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৩৫ মিনিট কথা বলেছেন তার। দুই নেতাই ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর কথা বলেছেন।
ফোনালাপে ইউক্রেন থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরানোর জন্য জেলেনস্কির সাহায্য চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
বিশেষ করে ইউক্রেনের সুমি থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বের করে ভারতে নিয়ে আসার জন্য তিনি ইউক্রেনের সহযোগিতা চেয়েছেন। সুমিতে প্রায় ৭০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী খুবই উদ্বেগের সঙ্গে ও খারাপ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাস যোগাযোগ রেখে চলেছে। রাশিয়া এখন যে চার শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে, তার মধ্যে সুমিও আছে।
সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ফোনে জেলেনস্কিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারতীয় শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে জেলেনস্কি যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তার জন্যই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মোদি। সুমির ক্ষেত্রেও একই ধরনের সাহায্য প্রত্যাশা করছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যে আলোচনা চালাচ্ছে, তার প্রশংসা করতেই হবে। সবসময়ই সরাসরি আলোচনা কাম্য।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের মধ্যে কথা হয়েছিল।
ইউক্রেনে রুশ হামলা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সোমবার (৭ মার্চ) ১২তম দিনেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রুশ হামলা ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলো নানা রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে।
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বেলারুশ সীমান্তে দুই দফায় বৈঠকে বসেন। তবে দুবারই বৈঠক কোনো কাজে আসেনি। ইউক্রেন বলছে, তারা চলতি সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।