স্বাধীনতা-রাষ্ট্র ও একজন কবি–
~~~
তবুও রেড লাইট এলাকা পেরিয়ে একেকটা মিছিল রাজপথ ছুঁয়ে দিলে,
বেশ্যার দল বলে গালিটাই রাষ্ট্রীয় পালিত ভোটে জিতে যায়।আর-অচ্ছ্যুত বলে গা-বাঁচানো ভঙ্গিমায় চলে ভদ্দরসমাজ।
অথচ তরতাজা সবুজ ঘাস ইঁটচাপার হলুদরঙে মৃত্যু-মৃত্যু হোলি খেলে।
জানি ম্যাগনিফাইং গ্লাসে যদি তাকাই-তো; আপনার পাঞ্জাবিতেও পেয়ে যেতে পারি অন্তরঙ্গ সুদীর্ঘ চুলের গোপন সাক্ষ্য।
মঙ্গলে বসতি গড়ার দিনেও এই-যে ভাত-ভাত গল্পের ঘুরপাক; কাব্য—কবি—–
এ-নিয়ে কবিকে গালি দিতেই পারেন।
তবে জানেন-তো?
হাড়ি-চুলা-সংসার এসব একান্ত দহন বাদ দিলেও বাকি থাকে—-কাঁটাবনের এপারে আড্ডা– স্বাধীনতা—- গল্প।
ওপারে সুদৃশ্য অ্যাকুরিয়াম আর পাখির বাজার; বাহারি খাঁচার বিজ্ঞাপন।
****
ঐতিহ্য –
~~~
জুতার ক্ষণিক মোহে আমরা মাটি ভুলে গেলেও, পা-জুড়ে লেগে থাকে নির্লিপ্ত ধূলিকণার আলিঙ্গন।
এ-কি শুধুই ভুল করে আঁকড়ে ধরার উদাম শূন্যতা,না-কি বটশাখায় ঝুলে পড়া শেকড়ের ভূমিনৈকট্য আকুতি?
এই-যে মাধুর্যময় মুখ ভুলে সৌন্দর্যের আয়না খোঁজা,হায় বিপন্নবাদ!
স্টাইলিশ ক্র্যাচের প্রলোভনে মিছেই কেন ভোলাতে চাও হারানো পায়ের শোক।
****
জিপিএ ফাইভ –
~~~
বিড়াল রচনা লিখতে গিয়ে দেখি, বিড়াল মালিকই মুখ্য হয়ে ওঠে,
আর ঘোড়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয় ঘোড়ার ডিমের গল্প।
প্রসঙ্গটা ছিলো ঘুম ভাঙানো নিয়ে;
তোমরা প্রতিপাদ্যে নাকি লিখেছিলে মৃত্যু ও তারপর—?
****
বেহায়া –
~~~
বৃক্ষের গায়ে পেরেক ঠোকা, ঝুলে থাকে প্রতিপাদ্যের ফেস্টুন; ‘গাছ-ই প্রকৃত বন্ধু’।
আর—ফিটনেসহীন গাড়িওয়ালার দাবি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’!
ভোটের প্রচারণায় যে-দিন থেকে ফুলের মতো পবিত্র বলে শ্লোগান এলো;
সেদিন থেকেই প্রেমিকার উপমায়, ফুল সংক্রান্ত শব্দমালা নির্বাসিত।
আইনের কথা বলবেন?
দেয়ালে জরিমানার অংক বসিয়ে দেখেছি; বন্ধ হয়নি বেহায়া প্রস্রাবের স্রোত!
****