ভূতের লাগানো আগুন নেভাতে ৫২ আলেম, ক্ষতি ১০ লক্ষাধিক টাকার

0

অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সিকদার কান্দি (১ নং ওয়ার্ড) গ্রামে। এলাকাবাসীর দাবি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত কোনো মানুষ নয় বরং ভূত।

প্রায় ১৮ দিন ধরে চলা ধারাবাহিক এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এখন গ্রামটিকে আগুন লাগার গ্রাম বলেও ডাকেন।

শুধু তাই নয়, আগুন লাগার আগে নাকি স্বপ্নযোগে ৭ পাতিল খিচুড়িও চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় আগুন লাগবে আরও। আগুন থেকে বাঁচতে ৪১ জন হুজুর ডেকে বাড়ি বন্ধক (প্রচলিত কুসংস্কার) ও কোরআন খতম দেয়াও হয়েছে।

খিচুড়ি রান্নারও রয়েছে অদ্ভুত নিয়ম। ছাগলের মাংস দিয়ে রান্না করতে হবে খিচুড়ি। ছাগল কেনা থেকে শুরু করে খিচুড়ি রান্না করা। সব কিছুই করতে হবে খালি পায়ে। সেই খিচুড়ি আবার দিতে হবে নদীতে ভিতরে। শুনতে হাস্যকর মনে হলেও তাদের বিশ্বাস এটাই। যে কোনো কিছুর বিনিময়েই আগুন থেকে রক্ষা পেতে হবে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, স্বপন চোকদার (৪৯) সুমন চোকদার (৩৮) মোহাম্মদ চোকদার, লালন হাওলাদার সহ আরও অনেকেই। অগ্নিকাণ্ড একটি মোটরসাইকেল, ২০টি ছাগল ৮টি বসতঘর সহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি।

সরজমিন গেলে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ চোকদার জানান, তিনি পেশায় কৃষক। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলও বলাও চলে। রাতে ঘুমের মধ্যে দেখতে পান বাড়িতে আগুন। চোখের সামনে পুড়ে ছাই তার সবকিছু।স্থানীয় ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি, তাদের নেই কোনো শত্রু। তবুও নিয়ম করে প্রায় প্রতিদিনই ২-৩বার করে লাগছে আগুন।

তবে তারা দেখতে পাচ্ছে আগুন লাগার পরে। কিভাবে আগুন লাগছে বা কারা লাগাচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই কারোরই। কোনো এক ফকির (জ্যোতিষি) বলেছে এগুলো জীনের কাজ। তাই হুজুর ডেকে কোরআন খতম করা হয়েছে।

ভূতে আগুন লাগানোর বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমানকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তবে কেউ কেউ বলছেন আগুন ভূতে নয় মানুষেই লাগাচ্ছে।

একটি উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে