উত্তর কোরিয়া সন্দেহভাজন দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইয়নহাপ নিউজ এজেন্সির বরাতে এ তথ্য জানায় আলজাজিরা।
বৃহস্পতিবার সিউল বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া স্বল্প পাল্লার দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, চলতি বছরের মধ্যে এটি ষষ্ঠবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা।
এর আগে মঙ্গলবার দুটি সন্দেহভাজন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল পিয়ংইয়ং। যদিও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেশটির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
দেশটি এ ছাড়াও ১৪ ও ১৭ জানুয়ারিতে সন্দেহভাজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫ ও ১১ জানুয়ারি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকি’ প্রতিরোধে উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি অস্ত্র পরীক্ষা এবং নিজেদের প্রতিরক্ষা কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
জেসিএস বলছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ও ৮টা ৫ মিনিটের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উত্তর কোরিয়ার শহর হামহুং ও কাছাকাছি জায়গা থেকে ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ১৯০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে।
জেসিএস ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানায়, আরও তথ্যের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দেখছে।
উত্তর কোরিয়া চলতি মাসে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, নিষিদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘হাইপারসনিক’ অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এ ছাড়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা অস্ত্র সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম পুনরায় শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ছাড়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনাও থমকে আছে ২০১৯ সাল থেকে।
সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন অমান্য করে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোয় উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে নিরাপত্তার পরিষদকে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় পিয়ংইয়ং।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ছাড় আদায়ের পুরনো টেকনিকে ফিরেছেন কিম জং উন।