জাপানি সেই ধনকুবের ইউসাকু মায়েজাওয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১২ দিন থেকে ফিরে এসেছেন পৃথিবীতে। আজ সোমবার সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে কাজাখস্তানের জেজকাজগান শহরে তিনি অবতরণ করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইউসাকু মায়েজাওয়া ছাড়াও মহাকাশযাত্রা শেষ করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন তাঁর সহকারী ইয়োজো হিরানো ও রাশিয়ার নভোচারী আলেক্সান্দার মিসুরকিন।
মহাকাশে যাওয়ার আগেও আলোচনায় এসেছিলেন ইউসাকু। ২০২৩ সালে তাঁর চাঁদে যাওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসেক্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি চাঁদে যাবেন। গত বছর ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি সঙ্গী খুঁজছেন। এ জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন তিনি। এরপর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আবেদন জমা পড়ে প্রায় ৩০ হাজার নারীর। জীবনসঙ্গী নির্বাচনে টেলিভিশন শো করারও প্রস্তুতি চলছিল। তবে হঠাৎ করে সঙ্গী খোঁজার এই অভিযান থেকে সরে আসেন ইউসাকু।
ইউসাকুর সেই যাত্রা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে এর মধ্যেই তিনি মহাকাশ থেকে ঘুরে এলেন। মহাকাশে যাওয়ার আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ৮ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহাকাশে থাকবেন তিনি। এই সূচি অনুযায়ী তিনি গিয়েছিলেন মহাকাশে। আর সেখানে যাওয়ার পর অলস সময় কীভাবে কাটিয়েছেন, তারও কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দাঁত ব্রাশ করছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় তিনি শৌচাগারে যাচ্ছেন। এ ছাড়া অভিকর্ষত্বরণ না থাকায় কীভাবে খাবার খাচ্ছেন শূন্যে ভাসিয়ে, তারও ভিডিও প্রকাশ করেছেন ইউটিউবে।
এদিকে এই মহাকাশযাত্রীর ফিরে আসার খবর নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা তিনজনই ভালো আছেন।
৪৬ বছর বয়সী ইউসাকু মায়েজাওয়া একাধারে উদ্যোক্তা, অনলাইন ফ্যাশন ব্যবসায়ী, শিল্পসংগ্রাহক। যাওয়ার আগে তাঁরা জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার রোজকসমস স্পেস এজেন্সির সুয়ুজ রকেটে চড়ে মহাকাশে ভ্রমণে যাচ্ছেন তাঁরা। জাপান থেকে ইউসাকু ও হিরানোর আগে আর কেউ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণে যাননি। এর মধ্য দিয়ে এক দশকের বেশি সময় পর রাশিয়া মহাকাশে বিদেশি পর্যটক পাঠাল রাশিয়া।