ভাড়ায় বৌ , মা ও সন্তান পাওয়া যায় ঢাকা শহরে।জালিয়াতি চক্রের কখনো ভারাটে বৌ আবার কখনো মা হিসেবেই কাজ করে আসছেন ৩য় শ্রেনী পাশ চতুর এবং লোভি এই মহিলা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মৃত ব্যাক্তিদের স্ত্রী দাবি করে সম্পদ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মামলা ঠুকে দেয় এই চক্রটি। আর এই আসিফা বেগমরা হয় ঐ জালিয়াতি চক্রের প্রধান অস্ত্র।ভুয়া কাবিন নামা ,নামে বেনামে জন্মনিবন্ধন এবং এন আই ডিকার্ড তৈরি করে মৃত সামির পরিচয় দিয়ে যা মামলার প্রমান সরুপ ব্যবহার হয়। কাজি অফিসগুলোতেও চলে জালিয়াতি।কিছু টাকা খরচ করলেই পাবেন পুরোনো নথি তারিখের বিয়ের কাবিননামা ।কাজিদের এই কৌশলটি পুরাতন হলেও এখনো কাজে আসে।একের অধিক নথির বই এবং নথির পৃষ্টার ফাকে ফাকে এরা কিংছু পৃষ্ঠা খালিরেখে দেয় যা পরে প্রয়োজনে পুরোনো বিয়ের কাবিন হিসেবে নিবন্ধন করে। একই পন্থা অবলম্বন করেন এই নাড়ি । অনুসন্ধানে যাওয়ার পরে কাজি তা শিকার করতে বাধ্য হয়।
জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি , ১২ থেকে ১৫ শ টাকায় জন্মনিবন্ধন পাওয়া যায় দালাল চক্রের কাছে আর প্রমান সরুপ কোনো কাগজনা থাকলে হয়তো ৫ হাজার।তবে ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনে তা এখন অসম্ভব প্রায় কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এখনো জন্ম নিবন্ধন চক্রটি সক্রিয় । এই আসিফা বেগম এই দুই অঞ্চল ঢাকা উত্তর দক্ষিন দুই স্থান থেকে দুইটি জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করে যার একটি শুধুই কম্পিউটার প্রিন্ট এবং অপরটি ভুয়া ঠিকানায় তৈরি বলে প্রমানিত। এন আই ডি যা ছারা কোনো সরকারি কাজ, পাসপোর্ট এবং ব্যাংক একাউন্ট খোলা সম্ভব নয় যা পরিচয় পত্র হিসেব ব্যবহার হয়সর্বত্র।মৃত ব্যাক্তির আইডি কার্ডও সংশোধন করা যায় যদি নির্বাচন কমিশনে আপনার লোক থাকে।মৃত ব্যাক্তিদে এন আই ডির ২নং ফ্রমে সূক্ষ্ম পরিবর্তন এনে স্বামী বা স্তীর নাম সংযোজন করে দেয় নিরবাচন কমিশনে থাকা কিছু দুস্কৃতিকারি ।আগে মৃতব্যাক্তি এন আইডি সংশোধন করে স্ত্রীর নাম বসানো হয় এবং ঐ সংশোধিত এন আই ডি কার্ডের কপি , বিয়ের কাবিন নামাএবং জন্মনিবন্ধন সহ আবেদন করেন নতুন এন আই ডি কার্ডের যার মধ্যে স্বামীর নাম অন্তরভুক্ত করে জালিয়াতি চক্রটি।ভিন্নভিন্ন ভুয়া ঠিকানায় নির্বাচন কমিশন হতে একের অধিক এন আইডি কার্ড তৈরি করেন এই আসিফা বেগম ও চক্রটি। বাজে মামলা মোকদ্দমার জরাতে চান না অনেক নাগরিক এই সুজোগটিকে কাজে লাগিয়ে মধ্যস্থতার আহবান জানায় ঐজালিয়াত চক্র ।হাতিয়ে নেয় অর্থ সম্পদ। যুগ যুগ ধরে এই আসিফা বেগমদের সাহাজ্য নিয়ে জমি ও সম্পদ আত্মসাত করে আসছে কিছু জালিয়াত চক্র।
সম্প্রতি ওয়ারী থানা অন্তর্গত ১৪ হাটখোলা রোডের বাড়িটির ভুয়া মালিকানা দাবি করলে চক্রটি এলাকাবসীর নজরে আসে এর পরই দৈনিক রুপবানীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই চক্র প্রধান ফারুক হোসেন সহ তার সহযোগিদের নাম। ফারুক হোসেন, পিতা আশ্রাফ আলি হাওলাদার সাং বড় প্রমাহার, ঝালকাঠি সদর, বরিশাল, সমাজে এক ভয়ংকর প্রতারক যার হাতেখরি সোনালী ব্যাংক হতে । আপনাদের হলমার্ক কেলেংকারির কথা মনে আছে । ২০১২ সালে সোনালী ব্যাংকের কিছু উর্ধতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারির যোগসাজেসে তিন হাজার পাঁচশ আটচল্লিশ কোটি টাকা আত্মসাত করে একটি জালিয়াতি চক্র ।ঐ সময়কালে সোনালী ব্যাংকের কেন্দ্রিয় শাখার নিরীক্ষা শাখার ৩য় শ্রেনীর কর্মচারি হিসেবে দায়িত্ব রত ছিলেন এই ফারুক হোসেন । পিয়ন শ্রেনীর চাকরি সত্যেও দৈহিক অবকাঠামো এবং চতুরতার কারনে সোনালী ব্যাংকের সি বি এ নেতা বনে যান । এই সি বি এ নেত্রিত্বের কারনে তার বিরাজ ছিলো ব্যাংকের সর্বত্র ।এই ফারুক হোসেনই ছিলেন ঐ সময়ের ব্যাংক জালিয়াতি চক্র এবং ব্যংক উর্ধতন কর্মকর্তা দের মাঝে সেতু বন্ধন যা ঐ সময়কালে প্রমানিত না হওয়ায় রাজনিতিতে আরো উচ্চাকাংক্ষি করে তোলে তাকে । শুরু হয় তার বেপরোয়াপানা সিবিএ পদ পদবির নাম ভাঙ্গিয়ে শুরু হয় লোন এবং চাকরির বিপরিতে ঘুস বানিজ্য ।তার ২৯/বি উত্তর কমলাপুর ভাড়া বাসার মালিক বাহার হজী জানান ব্যাংক লোন এবং চকরি দিতে অপারগ ফারুক হোসেন লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা ।
ভুক্তভোগিরা আজও অর্থ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় তার বাসায় জমায়েত হন ।ব্যাংক লোন , চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের টাকা ফেরত চাইলেই তাদের পিস্তলের ভয় দেখাতেন ফারুক হোসেন । শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পিস্তল গুলি সহ এরেষ্ট হন ফারুক হোসেনের বড় পুত্র নাজমুল হোসেন নোমান পরে তাকে রিমান্ডে নিলে তাহার ২৯ডি কবি জসিমউদ্দিন রোডের বাসা হতে বিপুল পরিমানের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায় । মতিঝিল থানায় মামলা যা চলমান ।ঐ বাড়ির মালিক গো হাজী সাহেব এবং বাড়িতে বসবাসরত মালিকের বোন জানান ফারুক হোসেন তার পরিবার সহ জড়িত ছিলেন এই অপরাধ জগতের সাথে এবং তাদের এমত কর্মকান্ডের জন্য বহিষ্কার করা হয় ঐ ভাড়া বাড়ি হতে ।২০১৭ সালে সোনালী ব্যাংক হতে বের হয়েই পুরোপুরি জরিয়ে পরেন অপরাধ জগতের সাথে । পূর্ব অভিগ্যতা থেকে ঢাকা শহরে তৈরি করে তার নতুন জালিয়াতি চক্র যার কাজ মৃত ব্যক্তিদের সম্পত্তি আত্মসাত । চক্রটিতে ভারায় খাটেন কয়েকজন মহিলা এর মধ্যে আসিফা বেগম অন্যতম ভুয়া ছেলে এবং বোন-ভাইও রয়েছে এই চক্রটিতে । ভুয়া এই স্ত্রী, সন্তান দিয়ে নামে বেনামে ভুয়া কাবিননামা জন্মনিবন্ধন , এন আই ডি কার্ড তৈরি করে মিসকেস ঠুকেদেয় মৃত ব্যাক্তির পরিবারের বিরুদ্ধে ।অধিকাংশ নাগরিক ঝামেলায় যেতে চায়না এই সুযোগে টাকার বিনিময়ে ঝামেলা নিসপত্তির আহবান যানান এই ফারুক হোসেন এবং লুটে নেয় অর্থ-সম্পদ । ঐ সকল ভারাটে মা ও ছেলে আত্মসাতের অর্থ এবং সম্পদ নিয়ে যাতে তাদের মাঝে ঝামেলা করতে না পারে তাই কৌশলে সম্পত্তির বায়না করে নেন ফারুক হোসেনের নামে এবং ক্রয় সুত্রে মালিক বনে যান ঐ সম্পত্তির ।
সম্পত্তি ক্রয়ের অর্থের যোগান রয়ে যায় প্রশ্নবোধক সমাজের কাছে ।জালিয়াতির অর্থে নামে বেনামে সম্পদ কেনেন তার গ্রাম বরিশালের ঝালকাঠি সদর উপজেলায় যা দুদুকের নজরদারিতে রয়েছে ।ভুক্তভোগিরা মামলা করেও সঠিক সময়ে সমাধান পান না এক অদৃশ্য আইনি জটিলতার কারনে। এই জালিয়িতি চক্রের বিরুদ্ধে এমনই একটি মামলা উল্লেখিত সিআর মামলা নং-১০৫/২১ (সুত্রাপুর),ধারা-৪৬৫/৪৬৮/৪৬৯/৪৭/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড যা সিআইডি তে তদন্তাধীন । তদন্ত সাপেক্ষ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের সিআইডি কার্জালয়ে একের অধিকবার তলব করা হলেও তাদের কোনো হদিশ পাওয়া যায় নাই।ভুক্তভোগি এবং এলাকাবাসিরা এ ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ।