তেলের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। তার ওপর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাপায় এক যোগদান অনুষ্ঠানে জি এম কাদের এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে এই অজুহাতে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু করোনাকালে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনেক কম ছিল, তখন তো তেলের দাম কমানো হয়নি। তখন যে পরিমাণ টাকা লাভ হয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল?
জি এম কাদের আরও বলেন, সরকার ব্যবসায়িক দৃষ্টি দিয়ে দেশ পরিচালনা করলে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। তাই ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম সহনীয় রাখতে হবে।
আইনের শাসন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে থাকার সমালোচনা করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনের শাসন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯টি দেশের মধ্যে ১২৪তম। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি—এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই আঁতেল সাজতে পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বৈরাচার বলেন। কিন্তু কেন স্বৈরাচার বলেন, সেই জবাব দিতে পারেন না তাঁরা। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বারবার জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি।’
জি এম কাদের বলেন, ‘বিএনপির আপসহীন নেত্রী মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার জন্য জেলখানার বাইরে আছেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বারবার সরকারের কাছে আবেদন করছেন। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।
কিন্তু পল্লিবন্ধু এরশাদ জেলখানায় থাকা অবস্থায় গুরুতর জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন চিকিৎসকেরা জেলখানার বাইরে তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও তখন পল্লিবন্ধুর চিকিৎসার জন্য স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন।
কিন্তু তখনকার খালেদা জিয়ার সরকার এরশাদকে জেলখানার বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেয়নি।’
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯১ সালের পর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে হামলা-মামলা দিয়ে বিএনপি যে অন্যায় করেছিল, বর্তমানে তার প্রায়শ্চিত্ত করছে দলটি। বিএনপির আমলে জাতীয় পার্টির ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল, বিএনপি তার কিছুটা স্বাদ পাচ্ছে এখন।
এর আগে জি এম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. নূরুন্নবী মৃধা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান, মীর আবদুস সবুর, দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ তালহা প্রমুখ।